Translate

Saturday, July 9, 2016

বিশ্বের সবচেয়ে সুন্দর ও বহুল আলোচিত ১০টি মসজিদ! যাদের সৌন্দর্যে আপনি বিমোহিত হয়ে যাবেন।

#মুসলিম সম্প্রদায়ের পবিত্র স্থান হচ্ছে মসজিদ। বিশ্বজুড়েই অসাধারণ স্থাপত্যের এমন অনেক সুন্দর মসজিদ দেখতে পাওয়া যায়। ইসলামী শাসন ব্যবস্থা যত দূরেই গেছে, সেখানেই স্থাপন করা হয়েছে মসজিদ। সে হিসেবে ইতিহাসে মুসলমানদের শক্তির নমুনাও প্রমাণ করে মসজিদ। প্রায় ১৩০০ বছর ইউরোপ ও আফ্রিকাসহ বিশ্বের গুরুত্বপূর্ণ অনেক অঞ্চল ছিল ইসলামের ছায়ায়। ইসলামী শাসন ক্ষমতা হারালেও মসজিদ হয়ে আছে গৌরবময় ইতিহাসের সাক্ষী।
বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে থাকা অনিন্দ্যসুন্দর সেসব মসজিদ পাঠকদের সামনে তুলে ধরা হলো— চলুন বন্ধুরা তাহলে দেখে আসি সেই সব জানা-অজানা, দেখা-অদেখা মসজিদ সমূহ---------------

১. মসজিদ আল হারাম (মক্কা, সৌদি আরব)
পবিত্র কোরআনে বলা হয়েছে, আল্লাহকে প্রার্থনার জন্য প্রথম ঘরটি হচ্ছে কাবা শরিফ। মসজিদ আল হারাম সৌদি আরবের মক্কায় অবস্থিত। পৃথিবীর সবচেয়ে বড় মসজিদ এটি। ৪ লাখ ৮শ’ স্কয়ার ফিট সম্পন্ন মসজিদটি। হজের সময় এক সঙ্গে ৪০ লাখ মানুষ থাকতে পারে।

২. মসজিদ আল নববী (মদিনা, সৌদি আরব)
মসজিদ আল নববীকে প্রায় ডাকা হয় রাসূলের মসজিদ নামে। এই মসজিদের প্রতিষ্ঠাতা ছিলেন মুসলমানদের শেষ নবী হযরত মুহাম্মদ (সা.)। এটা মুসলমানদের জন্য দ্বিতীয় পবিত্র স্থান। সবুজ ডোমটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি স্থান। কারণ এখানেই শেষ নবী মুহাম্মদ (সা.)-কে সমাহিত করা হয়েছে। ১৮৩৭ সালে প্রথম এই গুম্বজটিতে সবুজ রং ব্যবহার করা হয়।
 
৩. আল আকসা মসজিদ (জেরুজালেম, ফিলিস্তিন)
আল আকসার আরেকটি নাম বায়তুল মোকাদ্দেস। মুসলমানদের তৃতীয় পবিত্র স্থান এটি। মুসলমানদের প্রথম কিবলা ছিল এই মসজিদটি। আল্লাহ পরবর্তীতে কাবাকে কিবলা নির্ধারণ করে দেন।



৪. হাসান দ্বিতীয় (মরক্কো)
মরক্কোতে অবস্থিত হাসান দ্বিতীয় মসজিদটি পৃথিবীর অন্যতম বড় (৭ম) একটি মসজিদ। এই মসজিদের মিনারটি ৬৮৯ ফুট লম্বা। ১৯৯৩ সালে মসজিদটি তৈরি শেষ হয়। মিনারটি প্রায় ৬০ তলা উঁচু এবং মাথায় লেজার লাগানো আছে।


৫. সুলতান ওমর আলী সাইফুদ্দিন মসজিদ (ব্রুনাই)
ওমর আলী সাইফুদ্দিন মসজিদটি ব্রুনাইয়ের রাজকীয় মসজিদ। মসজিদটিকে ধরা হয় এশিয়া অঞ্চলের অন্যতম সুন্দর মসজিদ হিসেবে। ১৯৫৮ সালে মসজিদটির নির্মাণ কাজ শেষ হয়। আধুনিকতার ছোঁয়ায় নানাভাবে সাজানো হয়েছে মসজিদটিকে।


. জহির মসজিদ(কেদাহ,মালয়েশিয়া)
মালয়েশিয়ার কেদাহ প্রদেশে অবস্থিত জহির মসজিদটি। মালয়েশিয়ার অন্যতম পুরাতন মসজিদ এটি। ১৯১২ সালে মসজিদটি সুলতান তাজউদ্দিন মুকারম শাহের ছেলে টুংকু মাহমুদ তৈরি করেছিলেন। মসজিদের ৫টি গম্বুজ তৈরি করা হয়েছে ইসলামের ৫টি ভিত্তির ধারণায়।


. ফয়সাল মসজিদ (পাকিস্তান)
পাকিস্তানের ইসলামাবাদের সবচেয়ে বড় মসজিদ এটি। পৃথিবীর ৪র্থ বৃহৎ মসজিদও এটি। ১৯৮৬-১৯৯৩ সাল পর্যন্ত এই মসজিদটি পৃথিবীর মধ্যে সবচেয়ে বড় ছিল।


. তাজ উল মসজিদ (ভারত)
তাজ উল মসজিদ অর্থ হচ্ছে মসজিদের মুকুট। এই মসজিদটি ভারতের ভুপালে অবস্থিত। মসজিদটি ইসলাম শিক্ষার জন্য ব্যবহার করা হয় এখনো। এশিয়ার মধ্যে অন্যতম সুন্দর ও বড় মসজিদ এটি।


. বাদশাহি মসজিদ (লাহোর, পাকিস্তান)
লাহোরের রাজকীয় মসজিদ এটি। ৬ষ্ঠ মুঘল সম্রাট আওরঙ্গজেব ১৬৭১ সালে মসজিদটি প্রতিষ্ঠা করেন। নির্মাণকাজ শেষ হয় ১৬৭৩ সালে। পাকিস্তানের দ্বিতীয় বৃহৎ এবং দক্ষিণ এশিয়ার ৫ম বৃহৎ মসজিদ এটি। মুঘল আমলের নানা নিদর্শন এই মসজিদ নির্মাণকাজের মধ্যে পাওয়া যায়।
 
১ ০. সুলতান মসজিদ (সিঙ্গাপুর)
সুলতান মসজিদকে বিবেচনা করা হয় সিঙ্গাপুরের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ মসজিদ হিসেবে। মসজিদটি নির্মাণ হওয়া থেকে এখন পর্যন্ত অপরিবর্তিত অবস্থায়ই রয়েছে। অর্থাৎ যেমনভাবে নির্মাণ করা হয়েছিল ডিজাইনে কোনো ধরনের মৌলিক পরিবর্তন আনা হয়নি। এর নির্মাণকাজ শুরু হয় ১৮২৪ সালে এবং শেষ হয় ১৮২৬ সালে।

Friday, July 1, 2016

কাঁচা খাওয়াই ভালো রান্না করে/ সিদ্ধ করে খেলে তুলনামূলক খাদ্য উপাদান কমে যায়। যার ফলে পরিপূর্ণ শরীরের ক্ষয় পূরণ করতে পারে না।



 কাঁচা খাওয়াই ভালো রান্না করে/সিদ্ধ করে খেলে তুলনামূলক খাদ্য উপাদান কমে যায়।

***************************



#কিছু খাবার রান্না করে খাওয়া গেলেও শরীরের জন্য কাঁচা খাওয়াই ভাল। কারণ এগুলোর খাদ্যগুণ অটুট থাকে কাঁচা অবস্থাতেই। তাই রান্না করে খাওয়ার পাশাপাশি এগুলো কাঁচা খেতে পারেন। নিচে দেখুন এমন আট খাবারের নাম ও ছবি।
image (2)
বেল পেপার- ১৯০ ডিগ্রির বেশি তাপে রান্না করলে এর ভিটামিন-সি নষ্ট হয়ে যায়।
image (3)
ছোলা – রান্না করে খেলে ছোলার পুষ্টিগুণ নষ্ট হয়ে যায়।
image (5)
বাদাম ভাজলে তাঁর ভিতরে ক্যালরি এবং ফ্যাটের পরিমাণ বৃদ্ধি পায়। আর কমে যায় ম্যাগনেসিয়াম আর আয়রনের পরিমাণ।
image (6)
ব্রকলি- সেদ্ধ করে খাওয়াও ভাল। তবে রান্না করলে ব্রকলির খাদ্যগুণ নষ্ট হয়ে যায়।
image (8)
নারকেল- বেশ কিছু রান্নায় নারকেল দিয়ে রান্নার স্বাদ বাড়ে কিন্তু পুষ্টিগুণ কমে যায়।
image
রসুন- খালি পেটে কাঁচা রসুন খাওয়া স্বাস্থ্যের পক্ষে খুবই উপকারী। ক্যানসার, হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি রসুন খেয়ে এড়ানো যেতে পারে।
image (1)
বিট- রান্না করে খেলে বিটের ২৫ শতাংশ পুষ্টি গুণ কমে যায়।
image (4)
পেঁয়াজ- পেঁয়াজ রান্না করে খাওয়ার থেকে বেশি উপকার কাঁচায়। বিশেষজ্ঞদের মতে, কাঁচা পেঁয়াজ ফুসফুস ক্যানসার, প্রস্টেট ক্যানসার প্রতিরোধে সাহায্য করে।

#সাদাকাতুল ফিতরের নিয়ামাবলি:::::::::::::::::: জেনে রাখা ভালো।



 







:সাদাকাতুল ফিতরের নিয়ামাবলি:

#মুফতি হাশমতুল্লাহ : সাদাকাতুল ফিতর ইসলামি শরিয়তে ওয়াজিব একটি ইবাদত। সাদাকাতুল ফিতরের উদ্দেশ্য হচ্ছে ঈদের খুশিতে গরিব শ্রেণির লোককেও শামিল করে নেয়া। কেননা ঈদের নামাজের আগেই যখন একজন অভাব-অনাহারি লোক কিছু পায়, তখন তা আনন্দের কারণ হয়ে দাঁড়ায়। অন্যদিক বিবেচনা করলে সাদাকাতুল ফিতর হচ্ছে রোজার জাকাত। জাকাত যেমন সম্পদকে পবিত্র করে, তেমনই ফিতরাও রোজাকে পবিত্র করে।
মানুষ ভুলত্রুটির ঊর্ধ্বে নয়, রোজার ত্রুটি-বিচ্যুতির ক্ষতিপূরণ করে সাদাকাতুল ফিতর। মৌলিক প্রয়োজনের অতিরিক্ত নিসাব পরিমাণ সম্পদের মালিক প্রত্যেক মুসলিম নারী-পুরুষের ওপর সাদাকাতুল ফিতর ওয়াজিব। ঈদের দিন সুবহে সাদিক থেকে ফিতরা ওয়াজিব হয়। কাজেই সুবহে সাদিকের আগে কেউ মারা গেলে তার ফিতরা দেয়া ওয়াজিব নয়। গৃহকর্তার কোনো সন্তান যদি সুবহে সাদিকের আগে জন্মগ্রহণ করে, তবে তার ফিতরা দিতে হবে। এরপর জন্মালে ফিতরা দিতে হবে না। এ হুকুম সুবহে সাদিকের পর কেউ মুসলমান হলে তার ওপরও। গম, গমের আটা, জব, জবের আটা এবং খেজুর ও কিশমিশ দ্বারা ফিতরা আদায় করা যায়। গম বা গমের আটা দ্বারা ফিতরা আদায় করলে গম অর্ধ সা’ (১ কেজি ৬৬০ গ্রাম) এবং জব বা জবের আটা কিংবা খেজুর দ্বারা আদায় করলে এক সা’ (৩ কেজি ৩২০ গ্রাম) দিতে হবে। রুটি, চাল বা অন্য খাদ্যদ্রব্য দিয়ে ফিতরা দিতে হলে মূল্য হিসেবে দিতে হবে। কিশমিশ দিয়ে ফিতরা আদায় করলেও এক সা’ দিতে হবে।
দুর্ভিক্ষের সময় খাদ্যদ্রব্য দ্বারা ফিতরা আদায় করা উত্তম। অন্যান্য সময় মূল্য দিয়ে ফিতরা আদায় করা উত্তম। ঈদুল ফিতরের আগে ফিতরা আদায় করা জায়েজ। ঈদুল ফিতরের দিন আদায় না করলেও পরে তা আদায় করতে হবে। ঈদুল ফিতরের দিন ঈদগাহের উদ্দেশ্যে বের হওয়ার আগে ফিতরা আদায় করা মুস্তাহাব। নিজের এবং নিজের নাবালেগ সন্তানের পক্ষ থেকে সাদকায়ে ফিতর আদায় করা ওয়াজিব। স্ত্রী এবং বালেগ সন্তানেরা ফিতরা নিজেরাই আদায় করবে। স্বামী বা পিতার ওপর স্ত্রী-সন্তানদের ফিতরা আদায় করা ওয়াজিব নয়। তবে দিয়ে দিলে আদায় হয়ে যাবে। কিন্তু পরিবারভুক্ত নয়, এমন লোকের পক্ষ থেকে তার অনুমতি ছাড়া ফিতরা দিলে আদায় হবে না।
কোনো ব্যক্তির ওপর তার পিতামাতার, ছোট ভাই বোন ও নিকটাত্মীয়ের পক্ষ থেকে ফিতরা আদায় করা ওয়াজিব নয়। এক ব্যক্তির ফিতরা এক মিসকিনকে দেয়া উত্তম। তবে একাধিক ব্যক্তিকেও দেয়া জায়েজ। [ফাতাওয়ায়ে আলমগিরি : খণ্ড- ১, পৃষ্ঠা- ১৯২, কানযুদ্দাকায়িক : পৃষ্ঠা- ২৪]
শিক্ষক. মা’হাদুত তরবিয়াতুল ইসলামিয়া, ঢাকা।