Translate

Thursday, April 28, 2022

আমি কবি হবো না! --------দ্রোহী কবি (সাদ্দাম)

 আমি কবি হবো না!

        --------দ্রোহী কবি (সাদ্দাম)

 

আমি কবি হবো না!
তাহলে.....?
এক বেহেস্তী উম্মাদনা,
আমাকে দিয়ে কবিতা রচে।
কবিতা বলে তুমি কবি!

কবি কি বলে জানো?
অলি-আওলিয়া, নবী, কবি,
গায়ের জোরে হয়না।
আমি কবি হবো না!

 
আমি সত্যের প্রকাশিকা,
চির জাগ্ররত সত্মার অগ্নিবীণা।
আমি কবি হবো না!

 
আমি কলমের খোঁচায়,
অবিচারের করি দাহ-দহন,
সু-বিচারে শুভকামনা।
আমি কবি হবো না!

 
আমি নিজেকে করি দগ্ধ-দহন,
পরকে দেই তাপ-কিরণ
এ মোর পরম শান্তনা
আমি কবি হবো না!

Friday, October 9, 2020

আলেম ও দ্বীনদার মানুষকে বা, মসজিদের ইমামকে ‘হুজুর’ বলা যাবে কি না?

 



#আসসালামু আলাইকুম ওয়ারাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।  সম্মানিত ভাই  বোনেরা আজকে প্রায় মাস পর একটি বিষয়ের সম্মুখীন হওয়াতে বা একটি প্রশ্নের উত্তরে আমি একটি ব্লগ উপস্থাপন করতে যাচ্ছি,যার বদৌলতে অনেকের ভ্রান্ত ধারণা গুলো ঠিক হতে পারে ইনশা আল্লাহ

১। আলেম দ্বীনদার মানুষকে বা, মসজিদের ইমামকেহুজুরবলা যাবে কি না?

উত্তর: ‘হুজুর’ (هجور) শব্দটি আমাদের এই সমাজে বা দেশে বহুল প্রচলিত একটি শব্দ। সাধারণত আমরা   বিজ্ঞ আলেম, মসজিদের ইমাম দ্বীনদার-পরহেযগার মানুষদেরকেহুজুরবলে সম্বোধন করে থাকি।

নিম্নে বিষয়ে সংক্ষিপ্তাকারে বিশ্লেষণ করা হল:-

 

শাব্দিক অর্থ:

. উপস্থিত হওয়া,

. জনাব,

. মহাশয়,

. মহোদয়,

. স্যার।

. বি. নৃপতি,

. বিচারপতি,

. মনিব প্রভৃতি।

 

পারিভাষিক অর্থ:

১। হুজুর শব্দটি, এটি সম্মানিত ব্যক্তিদের সম্মানসূচক সম্বোধনের জন্য ব্যবহার করা হয়।

(ফার্সী অভিধান গিয়াসুল লুগাত, পৃষ্ঠা/১৭৪)

২। জমহুর ওলামাইকেরাম বলেন- সমাজ বা দেশের বিজ্ঞ আলেম, দ্বীনদার শ্রেণীর লোক বা, পীর মাশায়েখদের সম্মানার্থে ব্যবহৃত শব্দটিই হলো হুজুর।

৩। পূর্ব যুগে রাজা-বাদশাহ, বিচারপতি, মনীব প্রমূখ ব্যক্তিবর্গের প্রতি সম্মান প্রদর্শনার্থেহুজুরবলে সম্বোধন করার রীতি প্রচলিত ছিল।

 

বিশ্লেষণ-

বাংলা ভাষায় অর্থবহ শব্দ যেমনিভাবে  জনাব, মহাশয় সম্মানসূচক শব্দ তেমনিভাবে  হুজুর শব্দটিও ফার্সী, উর্দু বাংলা ভাষায় একটি অর্থবোধক সম্মানসূচক শব্দ। যা সাধারণভাবে দ্বীনদারী লোক, আলেম-উলামা, পীর-মাশায়েখদের ক্ষেত্রে ব্যবহার করা হয়ে থাকে, ০৩ (তিন) ভাষার অভিধান গ্রন্থগুলো দেখলেই কথা স্পষ্ট হয়ে যায়। মেছাল- ফার্সী অভিধান গিয়াসুল লুগাতে (পৃ. ১৭৪) দেখুন : ‘‘হুজুর শব্দটির অর্থ হল, উপস্থিত হওয়া। তবে পরিভাষায় এটি বুযুর্গ ব্যক্তিদের সম্মানসূচক সম্বোধনের জন্য ব্যবহার করা হয়।’’ এই একটি কথায় উর্দু অভিধান ফীরুযুল লুগাত (পৃ. ৫৭১) এবং বাংলা অভিধান বাংলা একাডেমী ব্যবহারিক বাংলা অভিধান (পৃ. ১২১২) সংসদ বাংলা অভিধান (পৃ. ৭২৩) এতে উল্লেখ করা হয়েছে। অনলাইন ভিত্তিক অভিধান ebanglalibrary.com হুজুর (Hujura) শব্দটির ব্যাপকারে অর্থ বিশ্লেষন করা হয়েছে। উপরোল্লেখিত অভিধানগুলোর আলোকে কথাই স্পষ্ট হয় যে, হুজুর শব্দটি ফার্সী, উর্দু বাংলা ভাষায় নিছক একটি সম্মানসূচক শব্দ। আর অর্থেই এই তিন ভাষার অনেক মানুষ রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর জন্যও এটি ব্যবহার করে থাকে। শরয়ী পরিভাষা হিসেবে এটি ব্যবহার করা হয় না। শব্দটি যেহেতু ব্যাপক তাই রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর জন্য তা ব্যবহার করা হলেও সাধারণত অধিক সম্মান বোঝানোর জন্য এর সাথে আকরাম শব্দ যোগ করে হুজুরে আকরাম বলা হয়। নবী কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে লক্ষ্য করে হুজুর শব্দটি ব্যবহৃত হলেও এখানে মূলত তাঁকে সম্মান দেখানোর নিমিত্তে তার শানে শব্দটি প্রয়োগ করা হয়।

তবে কেউ যদি শব্দটির শাব্দিক অর্থের দিক থেকে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে সর্বত্র হাজির-নাজির মনে করে তার শানে এই শব্দ ব্যবহার করে তাহলে নি:সন্দেহে তা জায়েয নয়। কেননা, আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে হাজির তথা সর্বত্র উপস্থিত, তিনি সব কথা শুনেন, জানেন ইত্যাদি বিশ্বাস থাকা শিরক। এগুলো একমাত্র আল্লাহর গুণ। আল্লাহ তায়ালার মত আল্লাহর নবীও সব জায়গায় বিরজমান, সব জায়গায় হাজির থাকার বিশ্বাস আল্লাহর সাথে শিরকের নামান্তর। মোটকথা, হুজুর শব্দটি সম্মানসূচক বটে তবে এটি এমন কোনো শব্দ নয়, যা শুধু রাসূলে কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর জন্য ব্যবহৃত হয়। বরং তা ব্যাপকভাবে ব্যবহৃত একটি শব্দ।

সুতরাং উপরে উল্লেখিত বিষয়গুলোর বিশ্লেষনে অর্থে হুজুর শব্দের ব্যবহারে কোন দোষ নেই ইনশাআল্লাহ। আল্লাহ তায়ালা আমাদের সঠিকভাবে বোঝার তৌফিক দান  করুন।

পরিশেষে- আমাকে সাহায্য করার জন্য আমার ওস্তাদগণ ও ইলমে দ্বীন শিক্ষারত বন্ধুগণ এবং মহান আল্লাহ তায়ালার কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি।

 

রেফারেন্স-

ü  গিয়াসুল লুগাত ১৭৪;

ü  ফীরুযুল লুগাত ৫৭১;

ü  ফাতাওয়া মাহমুদিয়া /৩৪২

ü  বাংলা অভিধান (পৃ. ১২১২)

ü  সংসদ বাংলা অভিধান (পৃ. ৭২৩)

ü  অনলাইন ভিত্তিক অভিধান ebanglalibrary.com

ü  আমার ওস্তাদগণ।

Wednesday, May 20, 2020

লাইলাতুল ক্বদর(لیلة القدر) ও ইতিক্বাফ (إعتكاف)





লাইলাতুল ক্বদর(لیلة القدر) ও ইতিক্বাফ (إعتكاف)

লেখক:- মো: সাদ্দাম হোসাইন
#লাইলাতুল কদর (আরবী: لیلة القدر‎‎) এর অর্থ অতিশয় সম্মানিত মহিমান্বিত রাত বা পবিত্র রজনী। আরবি ভাষায় লাইলাতুল অর্থ হলো রাত্রি বা রজনী এবং কদর শব্দের অর্থ সম্মান, মর্যাদা, মহাসম্মান। ছাড়া এর অন্য অর্থ হলোভাগ্য, পরিমাণ তাকদির নির্ধারণ করা। ইসলাম ধর্ম অনুসারে, রাত্রে ইসলামের মহানবী মুহাম্মদ (সা:)-এর অনুসারীদের সম্মান বৃদ্ধি করা হয় এবং মানবজাতির ভাগ্য পুন:র্নির্ধারণ করা হয়। তাই মুসলমানদের কাছে এই রাত অত্যন্ত পুণ্যময় সম্মানিত রাত্র হিসেবে পরিগণিত। কুরআনের বর্ণনা অনুসারে, আল্লাহ্ তায়ালা এই রাত্রিকে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ মর্যাদা দিয়েছেন এবং এই একটি মাত্র রজনীর ইবাদতে হাজার মাসের ইবাদতের চেয়েও অধিক সওয়াব অর্জিত হওয়ার প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছে। প্রতি বছর মাহে রমজানে এই মহিমান্বিত রজনী লাইলাতুল কদর মুসলমানদের জন্য সৌভাগ্য বয়ে আনে বলে বিশ্বাস করা হয়।

শবে কদরের ইতিহাস:
৬১০ সালে শবে কদরের রাতে মক্কার  জাবালে নূরের হেরা গুহায় ধ্যানরত মহানবী  হযরত  মুহাম্মদ মোস্তফা  (সা:)-এর  নিকট সর্বপ্রথম কুরআন শরিফ নাজিল হয়। মুসলিম মনীষী এবং জমহুর ওলামেকেরামগণ বলেন নবী (সা:)-এর  নিকট প্রথম সুরা আলাক্ব-এর প্রথম পাঁচটি আয়াত নাজিল হয়। অনেকের মতে রাতে ফেরেস্তা জীবরাইল- এর নিকট সম্পূর্ন কোরআন অবতীর্ণ হয় যা পরবর্তিতে ২৩ বছর পর্যন্ত নবী মুহাম্মদের (সা:) নিকট তার বিভিন্ন প্রয়োজনীয়তা এবং ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে নির্দিষ্ট আয়াত আকারে নাজিল করা হয়।
মুসলমানদের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ন এই রাত সর্ম্পকে হাদিস  শরীফে অসংখ্য বর্ণনা রয়েছে। এমনকি মুসলমানদের প্রধান ধর্মীয় গ্রন্থ পবিত্র কুরআনুল কারিমে সূরা কদর নামে স্বতন্ত্র একটি পূর্ণ সুরা নাজিল হয়েছে। এই সুরায় শবে কদরের রাত্রিকে হাজার মাসের চেয়ে উত্তম বলে উল্লেখ করা হয়েছে।
মুহাম্মদ- এর পূর্ববর্তী নবী এবং তাদের উম্মতগণ দীর্ঘায়ু লাভ করার কারণে বহু বছর আল্লাহর ইবাদাত করার সুযোগ পেতেন। কুরআন হাদীসের বর্ণনায় জানা যায়, ইসলামের ৪জন নবী যথা আইয়ুব (:), জাকরিয়া(:) , হিযকীল(:) ইউশা ইবনে নূন(:) প্রত্যেকেই আশি বছর স্রষ্টার উপাসনা করেন এবং তারা তাদের জীবনে কোন প্রকার পাপ কাজ করেননি। কিন্তু মুহাম্মদ (সা:)  থেকে শুরু করে তার পরবর্তী অনুসারীগণের আয়ু অনেক কম হওয়ায় তাদের পক্ষে স্রষ্টার আরাধনা করে পূর্ববর্তীতের সমকক্ষ হওয়া কিছুতেই সম্ভপর নয় বলে তাদের মাঝে আক্ষেপের সৃষ্টি হয়। তাদের এই আক্ষেপের প্রেক্ষিতে তাদের চিন্তা দুর করার জন্য সুরা ক্বদর নাজিল করা হয়।

শবে ক্বদরের গুরুত্ব:
মুসলমানদের কাছে শবে কদর এমন মহিমান্বিত বরকতময় এবং বৈশিষ্ট্যমণ্ডিত জন্য যে, রজনীতে মুসলমানদের পবিত্র গ্রন্থআল-কোরআনঅবতীর্ণ হয়েছে।
আল্লাহ কোরআনে ঘোষণা করেছেন,নিশ্চয়ই আমি তা (কোরআন) অবতীর্ণ করেছি কদরের রাতে। আর কদরের রাত সম্বন্ধে তুমি কি জানো? কদরের রাত হাজার মাস অপেক্ষা শ্রেষ্ঠ। সে রাতে ফেরেশতারা রুহ অবতীর্ণ হয় প্রত্যেক কাজে তাদের প্রতিপালকের অনুমতিক্রমে। শান্তিই শান্তি, বিরাজ করে উষার আবির্ভাব পর্যন্ত। (সূরা আল-কদর, আয়াত: -)
লাইলাতুল কদর সম্পর্কে মুহাম্মদ (সা:) বলেন:- যে ব্যক্তি রাত ইবাদতের মাধ্যমে অতিবাহিত করবে, আল্লাহ তাঁর পূর্বেকৃত সব গুনাহখাতা মাফ করে দেবেন। (বুখারি শরীফ)
হাদীসের বর্ণনা অনুযায়ী, লাইলাতুল কদরের রজনীতে যে বা যারা আল্লাহর আরাধনায় মুহ্যমান থাকবে, স্রষ্টা তার ওপর থেকে দোজখের আগুন হারাম করে দেবেন। সম্পর্কিত হাদীসটি হলসমস্ত রজনী আল্লাহ তাআলা লাইলাতুল কদর দ্বারাই সৌন্দর্য মোহনীয় করে দিয়েছেন, অতএব তোমরা বরকতময় রজনীতে বেশি বেশি তাসবিহ-তাহলিল ইবাদত-বন্দেগিতে রত থাকো। অন্য হাদিসে তিনি বলেছেনতোমরা তোমাদের কবরকে আলোকিত পেতে চাইলে মহিমান্বিত লাইলাতুল কদর রাতে জেগে রাতব্যাপী ইবাদত-বন্দেগিতে কাটিয়ে দাও।

ইতিকাফ ও ইতিকাফ প্রকার:

১। সুন্নাত ইতিকাফ : রমজানের শেষ দশকের ইতিকাফ। অর্থাৎ ২০ রমজানের সূর্য ডোবার আগ মুহূর্ত থেকে শাওয়াল মাসের চাঁদ ওঠা পর্যন্ত মসজিদে ইতিকাফ করা। ধরনের ইতিকাফকে সুন্নাতে মুয়াক্কাদা কিফায়া বলা হয়। গ্রাম বা মহল্লাবাসীর পক্ষে কোনো এক বা একাধিক ব্যক্তি এই ইতিকাফ করলে সবার পক্ষ থেকে তা আদায় হয়ে যাবে।
২। ওয়াজিব ইতিকাফ : নজর বা মানতের ইতিকাফ ওয়াজিব। যত দিন শর্ত করা হবে তত দিন ইতিকাফ করা ওয়াজিব। ওয়াজিব ইতিকাফের জন্য রোজা রাখা শর্ত। সুন্নাত ইতিকাফ ভঙ্গ করলে তা পালন করা ওয়াজিব হয়ে যায়।

৩। নফল ইতিকাফ : সাধারণভাবে যেকোনো সময় ইতিকাফ করা নফল। এর কোনো দিন কিংবা সময়ের পরিমাপ নেই। অল্প সময়ের জন্যও ইতিকাফ করা যায় জন্য মসজিদে প্রবেশের আগে ইতিকাফের নিয়ত করে প্রবেশ করতে হবে।

গুনাহ মাফ :
হজরত আয়েশা রাদিয়াল্লাহু আনহা বর্ণনা করেন, একবার আমি রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে জিজ্ঞাসা করলাম- হে আল্লাহর রাসুল! (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আপনি বলে দিন, আমি যদি লাইলাতুল কদর কোন রাতে হবে তা জানতে পারি, তাতে আমি কী (দোয়া) পড়বো?
রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বললেন, তুমি বলবে-
اللَّهُمَّ إِنَّكَ عُفُوٌّ تُحِبُّ الْعَفْوَ فَاعْفُ عَنِّي
অর্থ : ‘হে আল্লাহ! তুমি ক্ষমাশীল, ক্ষমা করতে ভালোবাস অতএব আমাকে ক্ষমা করে দাও।’ (মুসনাদে আহমাদ, ইবনে মাজাহ, তিরমিজি, মিশকাত)
#যে ব্যক্তি লাইলাতুল কদরে ঈমান সহকারে আল্লাহর নিকট হতে বড় শুভফল লাভের আশায় ইবাদতের জন্য দাঁড়িয়ে থাকবে, তার পিছনের সব গুনাহ মাফ হয়ে যাবে।’ (বুখারি-মুসলিম)
‌‍'অপর দিকে এই রাতে কল্যাণ থেকে একমাত্র হতভাগ্য লোক ছাড়া আর কেউ বঞ্চিত হয় না। (ইবনে মাজাহ মিশকাত শরিফ)

মুনাজাত
মুনাজাতের মাধ্যমে বান্দার বন্দেগি আল্লাহর রবুবিয়াতের প্রকাশ ঘটে। বান্দাহ তার প্রভূর কাছে চায়। প্রভূ এতে ভীষণ খুশি হন। মহন আল্লাহ তায়ালা তার বান্দার প্রতি এতটাই অনুগ্রহশীল যে, তিনি তার কাছে না চাইলে অসস্তুষ্ট হন। যে আল্লাহর নিকট কিছু চায় না আল্লাহ তার উপর রাগ করেন’- (তিরমিযি শরীফ)দোয়া ইবাদতের মূল”- (আল-হাদিস)যার জন্য দোয়ার দরজা খোলা তার জন্য রহমতের দরজাই খোলা রয়েছে’- (তিরমিযি শরীফ) কাজেই আমরা কায়মনোবাক্যে আল্লাহর দরবারে মুনাজাত করব, ক্ষমা চাইব, রহমত চাইব, জাহান্নাম থেকে মুক্তি চাইব

#আল্লাহ্ তায়ালা আমাদের সকলকে মাফ নেক হায়াত করুন। আমিন।