Translate

Friday, April 24, 2020

সালাতুত তারাবির নামাজ-এর নিয়ম-কানুন, নিয়ত ও দো'আ:


সালাতুত তারাবির নামাজ-এর নিয়ম-কানুন, নিয়ত ও দো'আ:


লেখক: মো: সাদ্দাম হোসাইন

# রাসুলুল্লাহ (সা.) ইরশাদ করেছেন, ‘হে লোক সকল! তোমাদের ওপর একটি মর্যাদাপূর্ণ মাস ছায়া বিস্তার করেছে। এ পবিত্র মাসের একটি রাত বরকত ও ফজিলতের দিক থেকে হাজার মাস থেকেও উত্তম।
# তারাবি (ترابي) শব্দটি বহুবচন। এর একবচন হলো তারবিহ। আভিধানিক অর্থ হলো : বিশ্রাম, স্বস্তি, শান্তি ও প্রশান্তি। রমজান মাসে এশার নামাজের পর যে সুন্নতে মুয়াক্কাদা ২০ রাকাত নামাজ আদায় করা হয়, তাকে সালাতুত তারাবির নামাজ বলে। (আল কামুসুল ফিকহ)।

#হজরত আবুজার গিফারী (রা.) বর্ণনা করেন, রাসুলে করিম (সা.) বলেন, ‘যে ব্যক্তি ইমামের সঙ্গে তারাবি নামাজ পড়ল, ইমাম প্রস্থান করা পর্যন্ত (জামাতে নামাজ সমাপ্ত করে গেল) তার কিয়ামে লাইল (রাত জাগরণের সওয়াব পূর্ণরূপে) লিখিত হবে।’ (তিরমিজি, তৃতীয় খণ্ড, ১৬১-১৬৯ পৃষ্ঠা, হাদিস: ৮০৬)।

তারাবিহ নামাজের নিয়ত :

نويت ان اصلى لله تعالى ركعتى صلوة التراويح سنة رسول الله تعالى متوجها الى جهة الكعبة الشريفة الله اكبر.


উচ্চারণ: নাওয়াইতুআন উসালি­য়া লিল্লাহি তাআলা, রাকাআতাই সালাতিত তারাবিহ সুন্নাতু রাসুলিল্লাহি তাআলা * মুতাওয়াযজ্জিহান ইলা যিহাতিল কাবাতিশ শারিফাতি, আল্লাহু আকবার। * (যদি জামাআতের সহিত নামাজ হয় তবে- ইক্বতাদাইতু বি হাজাল ইমাম বলতে হবে)

অর্থ: আমি কিবলামুখী হয়ে দুই রাকাআ তারাবিহ সুন্নাত নামাজ আল্লাহর জন্য আদায়ের নিয়্যত করছি, আল্লাহু আকবার। (যদি জামাআতের সহিত নামাজ হয় তবে- এই ইমামের ইমামতিতে জামাআতের সহিত)

তারাবিহ নামাজের চার রাকাআ পরপর দোয়া:
----------------------------------------------------------------
প্রত্যেক দুই রাকাআ পর সালাম ফিরানোর পর ইসতেগফার পড়তে হয়, দুরুদ পড়তে হয়, আল্লাহর স্মরণে জিকির করতে হয়। তারপর চার রাকাআ হলেও কুরআন হাদিসের দুআগুলো পড়া হয়; যে দুআগুলো পাঁচ ওয়াক্ত নামাজে পড়া হয়। কিন্তু তারাবির যে দুআটি বর্তমানে জারি আছে, এই দুআটি কোরআন-হাদিস সম্বলিত নয়; এটিও কোনো এক বুজুর্গ ব্যক্তি লিখে এর প্রচলন করেছেন, যার অর্থও ভালো বিধায় আমরা পড়ে থাকি-

>>>দুআটি হলো-<<<

سُبْحانَ ذِي الْمُلْكِ وَالْمَلَكُوتِ سُبْحانَ ذِي الْعِزَّةِ وَالْعَظْمَةِ وَالْهَيْبَةِ وَالْقُدْرَةِ وَالْكِبْرِيَاءِ وَالْجَبَرُوْتِ سُبْحَانَ الْمَلِكِ الْحَيِّ الَّذِيْ لَا يَنَامُ وَلَا يَمُوْتُ اَبَدًا اَبَدَ سُبُّوْحٌ قُدُّوْسٌ رَبُّنا وَرَبُّ المْلائِكَةِ وَالرُّوْحِ

উচ্চারণ: সুব্হানাযিল মুলকি ওয়াল মালাকুতি, সুব্হানাযিল ইয্যাতি, ওয়াল আয্মাতি, ওয়াল হাইবাতি, ওয়াল কুদরাতি, ওয়াল কিবরিয়াই, ওয়াল যাবারুত। সুব্হানাল মালিকিল হাইয়্যিল্লাজি লা-ইয়াানামু ওয়ালা ইয়ামুতু আবাদান আবাদা। সুব্বুহুন কুদ্দুছুন রাব্বুনা ওয়া রাব্বুল মালাইকাতি ওয়ার রূহ।

তারাবিহ নামাজের চার রাকাত পরপর মোনাজাত:

চার রাকাআ পর পর মোনাজাত করা যায়, আবার একেবারে নামাজ শেষ করেও একবারেই মোনাজাত করা যায়। তারাবিহ নামাজের জন্য নির্দিষ্ট কোনো দুআ নেই। আমরা সব সময় নামাজের ক্ষেত্রে যে সব দুআ পড়ে থাকি এগুলো পড়লেই হয়। তারপরও বহু পূর্বে কোনো বুজুর্গ বর্তমানে তারাবিহতে পঠিত দুআ প্রচলন করেছেন; যার অর্থ ভাল এবং উত্তম বিধায় আমরা তারাবিহ নামাজে এই দুআটি পড়ে থাকি।

দুআটি এই-

اَللَهُمَّ اِنَّا نَسْئَالُكَ الْجَنَّةَ وَ نَعُوْذُبِكَ مِنَ النَّارِ يَا خَالِقَ الْجَنَّةَ وَالنَّارِ- بِرَحْمَتِكَ يَاعَزِيْزُ يَا غَفَّارُ يَا كَرِيْمُ يَا سَتَّارُ يَا رَحِيْمُ يَاجَبَّارُ يَاخَالِقُ يَابَارُّ - اَللَّهُمَّ اَجِرْنَا مِنَ النَّارِ يَا مُجِيْرُ يَا مُجِيْرُ يَا مُجِيْرُ- بِرَحْمَتِكَ يَا اَرْحَمَ الرَّحِمِيْنَ

উচ্চারণ : আল্লাহুম্মা ইন্না নাসআলুকা জান্নাতা ওয়া নাউজুবিকা মিনান্নারী, ইয়া খালিকাল জান্নাতা ওয়ান্নারী, বিরহতিকা ইয়া আজিজু, ইয়া গাফ্ফারু, ইয়া কারীমু, ইয়া সাত্তারু, ইয়া রাহীমু, ইয়া জাব্বারু, ইয়া খালিকু, ইয়া বার্র। আল্লাহুম্মা আযিরনা মিনান্নার; ইয়া মুযিরু, ইয়া মুযিরু, ইয়া মুযির। বিরহমাতিকা ইয়া আর হামার রাহিমিন।

#আসুন এক নজরে দেখে আসি........
  1.  এশার চার রাকাত সুন্নত নামাজ।
  2.  এশার চার রাকাত ফরজ নামাজ।
  3.  এশার দুই রাকাত সুন্নত নামাজ।
  4.  দুই রাকাত দুই রাকাত করে তারাবির সুন্নত নামাজ।
  5.  এশার তিন রাকাত বেতের ওয়াজিব নামাজ।

>>>>>>>>>> ধন্যবাদ সকলকে<<<<<<<<<




Friday, November 10, 2017

বে-সরকারি হাসপাতাল


স্কয়ার হাসপাতাল
(চিকিৎসকের ফি ১০০০ টাকা, রোগী তার পছন্দমত চিকিৎসককে দেখাতে পারেন।)
ঠিকানা: ১৮/এফ, পশ্চিম পান্থপথ, ঢাকা-১২০৫, বাংলাদেশ।
টেলিফোন: +৮৮-০২-৮১২৯৩৩৪, ৮১৫৬৫২২, ৮১৫৭৮৫৩, ৮১৫৯৪৫৭-৬৪
ফ্যাক্স: +৮৮-০২-৯১১৮৯২১
ওয়েবসাইট: www.squarehospital.com

এ্যাপোলো হাসপাতাল
(এখানে চিকিৎসককে দেখাতে চাইলে প্রথমে রেজিস্ট্রেশন করতে হবে, রেজিস্ট্রেশন ফি ৭৫০ টাকা। এরপর রোগী যে চিকিৎসককে দেখাতে চাইছেন তাঁর এপয়েন্টমেন্ট নিতে হবে। বিভিন্ন চিকিৎসকের ফি বিভিন্ন রকম এটা ১০০০ থেকে ১৩০০ টাকার মধ্যে।)
ঠিকানা: প্লট ৮১, ব্লক , বসুন্ধরা আবাসিক এলাকা, ঢাকা-১২১৯
পিএবিএক্স: (02)-8401661
ফ্যাক্স: (02)-8401679, (02)-8401161, (02)-8401691
ই-মেইল: info@apollodhaka.com (সাধারণ তথ্যের জন্য)
feedback@apollodhaka.com (ফিডব্যাক)
ওয়েবসাইট:
www.apollodhaka.com
www.facebook.com/apollodhaka
www.twitter.com/apollodhaka
www.youtube.com/apollodhaka
www.apollodhaka.blogspot.com
www.gplus.to/apollodhaka
বারডেম জেনারেল হাসপাতাল
এই হাসপাতালে আন্তঃ ও বহিঃ বিভাগীয় রোগীর চিকিৎসা ব্যবস্থা আছে।
অবস্থান: শাহবাগ মোড়ে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের পূর্ব পাশে এর অবস্থান।
ফোন: ৮৬১৬৬৪১
কিডনী ফাউন্ডেশন বাংলাদেশ
কিডনী ফাউন্ডেশনের হাসপাতালের আউটডোর ইউনিট সকাল ৯টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত খোলা থাকে। বিশেষভাবে কনসাল্টেশন সার্ভিসটি সকাল ১০টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত এবং বিকাল ৫টা থেকে রাত ৮পর্যন্ত খোলা থাকে। ওপিডি বিভাগটি প্রতি শনিবার বিকাল ৫টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত খোলা থাকে। এই ইউনিটে কিডনী রোগ, ডায়েবেটিস, হাইপারটেনশন, ইউরোলজীক্যাল এবং স্টোন সমস্যা, ডায়ালাইসিস এবং কিডনী ট্রান্সপ্লান্টেশন সার্ভিস প্রদান করা হয়। এছাড়া ডায়ালাইসিস এর রোগীদের জন্য বিশেষ ছাড়ের ব্যবস্থা রয়েছে।

ঠিকানা

কিডনী ফাউন্ডেশন বাংলাদেশ
প্লট ৫/২, সড়ক ০১, সেকশন ০২
মিরপুর, ঢাকা ১২১৬।
ফোন: +৮৮-০২-৮০৫৫৮২৭, +৮৮-০২-৮০৫৩৭৮৬
ইমেইল: rashid@bol-online.com
ইব্রাহিম কার্ডিয়াক হসপিটাল এন্ড রিসার্চ ইনষ্টিটিউট
প্রধানত হৃদরোগীদের জন্য তৈরি এ হাসপাতালে আউটডোর বিভাগ ছাড়াও ২৪ ঘন্টার জরুরি বিভাগ এবং এম্বুলেন্স সার্ভিস রয়েছে।
এখানে বহির্বিভাগে রোগী দেখাতে চাইলে সকালে এপয়েন্টমেন্ট নিতে হবে। চিকিৎসকের ফি ৭০০ টাকা, তবে প্রফেসর বা এরকম পার্যায়ের জ্যেষ্ঠ চিকিৎসকের ফি ৯০০ টাকা। রোগী চাইলে কোন নির্ধিষ্ট চিকিৎসককেও দেখাতে পারেন। সেক্ষেত্রে যে দিন দেখাতে চাইছেন তার আগের দিন সংশ্লিষ্ট চিকিৎসককে পরের দিন পাওয়া যাবে কিনা জেনে নিয়ে এপয়েন্টমেন্ট নিতে হবে।

ঠিকানা
১২২, কাজী নজরুল ইসলাম এভিনিউ (৪র্থ ও ৫ম তলা), শাহবাগ, ঢাকা- ১০০০
ফোন- ৮৮-০২-৯৬৭১১৪১-৪৩, ৮৮-০২-৯৬৭১১৪৫-৪৭
এপয়েন্টমেন্ট- এক্সটেনশন ২০৬, মোবাইল ফোন: ০১৭১৪০০৬৭০৬
কার্ডিয়াক ইমার্জেন্সি: এক্সটেনশন ১১১, মোবাইল ফোন: ০১৭১৩০০৩০০৪
কার্ডিয়াক এ্যাম্বুলেন্স: এক্সটেনশন ২০৬, মোবাইল ফোন: ০১৭১৩০০৩০০৪
ডায়াগনস্টিক ল্যাবরেটরী: এক্সটেনশন ২১৫, ২১৬, ২১৭
ব্লাড ব্যাংক: এক্সটেনশন ২১৮
কার্ডিয়াক রিহ্যাবিলিটেশন: এক্সটেনশন ১৪০
ফ্যাক্স- ৮৮-০২-৯৬৭৪০৩০
ই-মেইল- info@brahimcardiac.org.bd
ওয়েব- www.ibrahimcardiac.org.bd
হলি ফ্যামিলি রেড ক্রিসেন্ট হাসপাতাল
এই হাসপাতালে বহি:বিভাগে বিশেষজ্ঞ ডাক্তারগণ রোগীর স্বাস্থ্য সেবা নিশ্চিত করে থাকেন। প্রথমবার রোগীকে ডাক্তার দেখানোর জন্য ৩০০ টাকা মূল্যের একটি কার্ড সংগ্রহ করতে হয়। পরবর্তী ১ (এক) বছর এই কার্ড দেখিয়ে মাত্র ১০০ টাকা ভিজিট দিয়ে ডাক্তার দেখানো যায়। এখানে মেডিসিন, সার্জারী, গাইনী, অর্থোপেডিক, শিশু রোগ, চক্ষু, নাক-কান-গলা, কার্ডিওলজি, নিউরো সার্জারী, নিউরো মেডিসিন, কিডনি, মানসিক রোগ, ডায়বেটিস, চর্ম রোগ, ইউরোলজি সহ মোট ১৭টি বিভাগের অধীনে প্রতিদিন রোগীদের চিকিৎসা প্রদান করা হয়।
অবস্থান: মগবাজার ওভারব্রীজ থেকে ১০০ গজ পশ্চিম দিকে ইস্কাটন গার্ডেন রোড-এ এটি অবস্থিত।
যোগাযোগ: ৮৩১১৭২১-৫
এই হাসপাতালের নিজস্ব ৪টি অ্যাম্বুলেন্স রয়েছে। যোগাযোগ: ৮৩১১৭২১-৫।
হারুন আই হসপিটাল
এ হাসপাতালে আলাদা আউটডোর নেই। কেবল বিভিন্ন চক্ষু চিকিৎসকের  কনসাল্টেশন সার্ভিস রয়েছে। বিভিন্ন চিকিৎসককে দেখানোর নিয়ম বিভিন্ন। কোন চিকিৎসককে দেখাতে চাইলে শুক্রবার সশরীরে গিয়ে সিরিয়াল নিতে হয় (কেবল শুক্রবারে পুরো সপ্তাহের সিরিয়াল দেয়া হয়)। আবার অনেক চিকিৎসককে দেখাতে চাইলে ফোনে সিরিয়াল দিলেই চলে।

অবস্থান
ধানমন্ডির মিরপুর রোডে অবস্থিত গণ স্বাস্থ্য হাসপাতাল থেকে ১০ গজ দক্ষিণে হারুন আই হসপিটাল অবস্থিত।
ঠিকানা
বাড়ি# ১২/এ, রোড# ৫, মিরপুর রোড ধানমন্ডি, ঢাকা- ১২০৫
মোবাইল নম্বর: ০১৫৫২-৩৯৭৫১৮, ০১৫৫২-৩৯৭৫১৭
অনুসন্ধান
  • ৯৬১৩৯৩০-৩৪
  • ৮৬১৯০৬৮


শমরিতা হাসপাতাল
রোগীর অবস্থা বুঝে কর্তব্যরত ডাক্তার রোগীকে হাসপাতালে ভর্তি  পরামর্শ দেন। রোগী চাইলে খালি থাকা সাপেক্ষে তার পছন্দমতো কেবিন বা সিট ভাড়া নিতে পারেন। সবসময় সিট বা কেবিন পাওয়া যায়।   ছুটির দিনসহ অন্যান্য বন্ধের দিনেও খোলা থাকে।

ঠিকানা ও অবস্থান

শমরিতা হসপিটাল লিমিটেড
৮৯/১, পান্থপথ, ঢাকা-১২১৫।
টেলিফোন: ৯১৩১৯০১ (মাস্টার লাইন)
ফ্যাক্স: ৮৮-০২-৯১২৯৯৭১
ইমেইল: samorita@bangla.net
ওয়েব: www.samoritahospital.net
লায়ন্স চক্ষু হাসপাতাল
বহি: হলে দেখাতে র্বিভাগে ডাক্তার রোগীকে টাকা ৩০ পরিশোধ করে রেজিষ্ট্রেশন ফর্ম সংগ্রহ করতে হয়।

ছিকানা এবং অবস্থান
বাংলাদেশ লায়ন্স ফাউন্ডেশন
লায়ন্স ভবন, বেগম রোকেয়া সরণী
আগারগাঁও, ঢাকা-১২০৭।
ফোন: +৮৮-০২-৯১৩১৯৯০, ৮১১০৮৯৪, ৮১৫৭১৫২।
ফ্যাক্স: +৮৮-০২-৮১৫৭১৫২।
ইমেইল: blf@blfbd.org
ওয়েব: www.blfbd.org
আগারগাঁও আইডিবি ভবনের ১০০ গজ উত্তর পাশে এটি অবস্থিত।
ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশন অব বাংলাদেশ
বহির্বিভাগ টিকেটের মূল্য ৫০ টাকা। প্রয়োজনে চিকিৎসক ভর্তির পরামর্শ দেন।
ভর্তি ফি ৪০০ টাকা।
ঠিকানা ফোন
প্লট নং ৭/২, সেকশন-২, মিরপুর, ঢাকা-১২১৬।
ফোন - ৮০৬১৩১৪-৬, ৮০৫৩৯৩৫-৬।
ফ্যাক্স -৮০২১৩৯৯
ই-মেইল- nhfadmin @ agni. com
ওয়েবসাইট- www.nht.org.bd
আয়শা মেমোরিয়াল হাসপাতাল
এখানকার বর্হিবিভাগে মেডিসিন, হৃদরোগ, বক্ষব্যাধি, গাইনী, নিউরো মেডিসিন, লিভার, সার্জারী, জেনারেল এন্ড ল্যাপারোস্কোপিক সার্জারী, ইউরোলজী, মানসিক, অর্থোপেডিক, নাক-কান-গলা, চর্ম ইত্যাদি রোগের চিকিৎসা দেয়া হয়।
অবস্থান ঠিকানা
মহাখালী রেল ক্রসিং থেকে ৩০০ গজ পশ্চিম দিকে এগোলে হাতের বামে এটি পাওয়া যায়। (ইউরেকা সিএনজি স্টেশনের পাশের গলি, রাওয়া ক্লাবের বিপরীতে।)
ঠিকানা-
৭৪/জি, পিকক স্কয়ার, মহাখালী, ঢাকা।
ফোন: ৯১২২৬৮৯-৯০, ৮১৪২৩৭০-৭১
মোবাইল: ০১৯১৯-৩৭২৬৪৭, ০১৯১৫-৪৯০০০৬-৭
উত্তরা সেন্ট্রাল হাসপাতাল ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার

ঠিকানা
বাড়ি# ১, রোড# ৭, সেক্টর# ১, উত্তরা, ঢাকা- ১২৩০।
ল্যান ফোন: (০২) ৮৯১৮৭৭৮
মোবাইল ফোন- ০১৭১১১৮২৫২২

ম্যাক্স হেলথ কেয়ার
শুক্রবার ছাড়া সপ্তাহের বাকি ছয় দিন সকাল ১০ টা থেকে  সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত অফিসটি খোলা থাকে।
অবস্থান ঠিকানা
গুলশান-১ চৌরাস্তার উত্তর পশ্চিম কোনায় অবস্থিত নাভানা টাওয়ারের ৮ তলায় ম্যাক্স হেলথ কেয়ার সেন্টার অবস্থিত। এটির ঠিকানা
স্যুইট# বি, লেভেল# ৭ (৮ম তলা), নাভানা টাওয়ার, ৪৫ গুলশান এভিনিউ, গুলশান-১, ঢাকা। যোগাযোগের ফোন নম্বর- ০২-৮৮২১৬০৪, ০১৯২৯-০০০০০০, ই-মেইল- maxhealthcare@mirageservicese.com, ওয়েবসাইট- www.maxhealthcare.in
ইউনাইটেড হাসপাতাল, গুলশান
এই বিভাগে রোগী দেখাতে হলে প্রথমেই রেজিষ্ট্রেশন/নিবন্ধন করতে হবে। রেজিষ্ট্রেশন/নিবন্ধন ফি ৬০০ টাকা। হাসপাতালের ওযেবসাইটের মাধ্যমেও রেজিষ্ট্রেশন/নিবন্ধন করা যায়। এক্ষেত্রে হাসপাতালে এসে ফি পরিশোধ করতে হবে।
ঠিকানা যোগাযোগ অবস্থান
ইউনাইটেড হসপিটাল, প্লট – ১৫, সড়ক – ১৭, গুলশান, ঢাকা, বাংলাদেশ।
ফোন:- ৮৮৩৬০০০, ৪৪৩৬৪৪৪, ০১৯১৪০০১৩১৩। ফ্যাক্স:- ৮৮-০২-৮৮৩৬৪৪৬
জরুরী:- ০১৯১৪-০০১২৩৪, ০১৯১৪-০০১২৩২। ওয়েব সাইট:- www.uhlbd.com
ইবনে সিনা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল
মাত্র ৫০ টাকা ফি দিয়ে সার্বক্ষণিক আউটডোর সার্ভিস, ১৫০ টাকা ফি দিয়ে আরপি ও আরএস এবং ২০০ টাকা ফি দিয়ে মেডিসিন, গাইনী, ইএনটি, শিশুরোগ, চর্ম ও যৌন রোগ, মনোরোগ, জেনারেল সার্জারী, নিউরো সার্জারীসহ সকল বিভাগের অধ্যাপক ও বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক দেখানোর সুযোগ প্রতিদিন সকাল ৮.০০ টা থেকে দুপুর .০০ টা পর্যন্ত।
ঠিকানা
১/১/বি, কল্যাণপুর, ঢাকা-১২১৬। ফোন ৯০১০৩৯৬, ৯০০৫৫৯৫, ৯০০৫৬১৭। ফ্যাক্স ৮৮০-২-৯০০৫৫৯৫। ই-মেইল ismcdhaka@yahoo.com, ওয়েবসাইট www.ismc.ac.bd
ইসলামিয়া চক্ষু হাসপাতাল
কাউন্টার থেকে ২০ টাকা মূল্যের টিকেট কেটে বহির্বিভাগে ডাক্তার দেখানোর ব্যবস্থা রয়েছে।এখানে মোট ৭টি বিভাগ রয়েছে। এগুলো হলো – 1. General ophthalmic service, 2. Refractive error, 3. Amblyopia, 4. Squint, 5. Cataract, 6. Injury, 7. শিশু চক্ষু রোগ।
অবস্থান
ফার্মগেট, শেরে বাংলা নগর, ঢাকা – ১২১৫ – এ এই ঠিকানায় হাসপাতালের অবস্থান। ৩ (তিন) তলা বিশিষ্ট হাসপাতাল ভবনটি গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের পশু সম্পদ অধিদপ্তরের বিপরীত দিকে অবস্থিত। ফোন: ৮১১২৮৫৬, ৯১১৯৩১৫; ই-মেইল: eih1960@yahoo.com

উত্তরা ক্রিসেন্ট হাসপাতাল
এখানে জরুরী বিভাগে রোগী দেখানোর জন্য ফি ১০০ টাকা। বহির্বিভাগে ডাক্তার কনসালটেশন ফি বিশেষজ্ঞ ভেদে ৩০০, ৪০০ ও ৫০০ টাকা ফি। রোগী ভর্তি করানোর জন্য রিসিপশনে ম্যানেজার, সিআরও এর কাছে ৫০০ টাকা ভর্তি ফি জমা দিয়ে ভর্তি সম্পন্ন করতে হয়।
ঠিকানা
বাড়ি# ২১, রোড# ১৫, সেক্টর# ৩, উত্তরা, ঢাকা- ১২৩০।
লোকেশন
আজমপুর বাস স্টপেজ থেকে ২০০ গজ পশ্চিমে রবীন্দ্র সরণী রোডে।

উত্তরা মডার্ন হাসপাতাল
বর্হি: বিভাগে শুধুমাত্র গাইনী ও শিশু রোগের চিকিৎসা প্রদান করা হয়।
বর্হি: বিভাগ চিকিৎসা ফি ১০০ টাকা।
সময়সূচী: শুক্রবার বাদে প্রতিদিন সকাল ৯.০০ টা থেকে দুপুর ২.০০ টা পর্যন্ত।

ঠিকানা যোগাযোগ
হাউজ # ২২, সেক্টর # ৭, রবীন্দ্র সরণী এভিনিউ, উত্তরা মডেল টাউন, উত্তরা, ঢাকা।
ফোন: ৮৯১৪০১৭, ৮৯১৪৮০৭
মোবাইল: ০১১৯৬-১৫৫৬০০
ফ্যাক্স: ৮৮-০২-৯৫৬৩৩৯৯
এস পি হসপিটাল এন্ড আর্থাইটিস রিসার্স সেন্টার

অবস্থান
এটি শ্যামলী রিং রোডে অবস্থিত ডাচ্ বাংলা ব্যাংক হতে ৫০০ গজ পূর্ব দিকে প্রতিষ্ঠানটি অবস্থিত।
ঠিকানা
বাড়ী#৮, আদর্শ ছায়ানীড়, শ্যামলী রিং রোড, আদাবর, ঢাকা- ১২০
ফোন- ৮১৪২১৮৪, ৮১৪২১৮৩
মোবাইল- ০১৭১১-৬৮২৭৭১, ০১৭১২-২৮৩৪৮৪
কিউর মেডিকেল সেন্টার লিঃ

অবস্থান: গুলশান ১ ডিসিসি পাকা মার্কেটের বিপরীতে কিউর মেডিকেল সেন্টার লিঃ এর অবস্থান।
ঠিকানা: বাড়ি# ৫, সড়ক# ১৬, গুলশান ১, ঢাকা- ১২১২
ফোন- ৯৮৯৪৭৭৬, ৮৮৬০৮৫৪
মোবাইল- ০১৮১৯-২২১৯২৬
কেয়ার হাসপাতাল

২/১ এ, ইকবাল রোড, মোহাম্মদপুর, ঢাকা।
আসাদগেট বাসস্ট্যান্ড থেকে ৫০০ গজ উত্তর দিকে এই হাসপাতালটি অবস্থিত।
ফোন: ৯১৩২৫৪৮, ০৯১৩৪৪০৭
মোবাইল: ০১৭৩৩৫৮৮৩৩৭
ফ্যাক্স: ০৮৮-০২-৮১১০৮৬৪
ই-মেইল: carehospital@rocketmail.com
ওয়েবসাইট: www.carehospitalbd.com
ক্যান্সার হোম

অবস্থান: মহাখালী ওয়ারলেসে অবস্থিত ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ৩০০ গজ পূর্বে পানির ট্যাংকির বিপরীতে এর অবস্থান।
ঠিকানা: রাফা মেডিকেল সার্ভিসেস
৫৩, মহাখালী (নিচতলা)
ফোন- ০২-৯৮৬১১১১
মোবাইল- ০১৭১৫-০৯০৮০৭, ০১৯৭৫-০৯০৮০৭
ই-মেইল- cancerhome@hotmail.com
ওয়েব- www.cancerhomebd.com
গ্রীন লাইফ মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল
হাসপাতালের বর্হিবিভাগ শুক্রবার বাদে প্রতিদিন সকাল ৯ টা থেকে দুপুর ২ টা পর্যন্ত ১০০ টাকার বিনিময়ে ডাক্তার দেখানোর ব্যবস্থা রয়েছে।

বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের কনসাল্টেশন সুবিধাও আছে। চিকিৎসক ভেদে ফি ৪০০ থেকে ৭০০ টাকা।
অবস্থান: ল্যাব এইড হাসপাতালের পূর্ব পাশ থেকে ১৫০ গজ উত্তরে রাস্তার পূর্বে গ্রীন লাইফ মেডিকেল কলেজের অবস্থান।
ঠিকানা: ৩২, বীর উত্তম, কে.এম শফিউল্লাহ রোড, গ্রীন রোড,  ধানমন্ডি, ঢাকা- ১২০৫
ফোন- ০২- ৯৬১২৩৪৫ এক্স- ১৩২৬
ফ্যাক্স- ৮৮-০২- ৯৬৭১০৮০
মোবাইল- ০১৭১৬-৩২৯৯৬৪
ই-মেইল- kawsar8877@yahoo.com
নিবেদিতা শিশু হাসপাতাল
রোগী ভর্তি হতে হলে হাসপাতালে ঢুকে সামনের ১ নং কাউন্টারে যোগাযোগ করতে হবে। প্রথমে সিরিয়াল দিতে হবে তার জন্য ২০০ টাকা ভিজিট দিতে হবে। কেবল শিশুদের চিকিৎসা দেয়া হয়।
অবস্থান: এটি জয়কালী মন্দির থেকে দক্ষিণ দিকে সিলভারডেল গার্লস স্কুলের উল্টো দিকে অবস্থিত।
ঠিকানা: ১১/১ হেয়ার ষ্ট্রীট, ওয়ারী, ঢাকা।

ন্যাশনাল আই হাসপাতাল
১ম শিফট সকাল ৮.৩০ টা থেকে .০০ টা পর্যন্ত এবং ২য় শিফট বিকাল .০০ টা থেকে রাত .০০ টা পর্যন্ত।
অবস্থান: উত্তরা ৭ নম্বর সেক্টরের ২৭ নম্বর রোডে অবস্থিত ঢাকা উইমেন কলেজের পাশে এই হাসপাতালটি অবস্থিত।
ঠিকানা: ন্যাশনাল আই হাসপাতাল
উত্তরা ৭ নম্বর সেক্টর, বাড়ি নং-ক, রোড নং-২৭।
ফোন: ৮৯৫৭২৪৭
মোবাইল: ০১৭৫২০৫৮১০৮

পেডিকেয়ার নবজাতক ও শিশু হাসপাতাল
এই হাসপাতালে ডাক্তারগন সাধারনত ২টি শিফটে রোগী দেখে থাকেন। প্রথম শিফট সকাল ৮টা থেকে বেলা ২টা এবং দ্বিতীয় শিফট দুপুর ২টা থেকে রাত ৮টা। প্রতি শিফটে ৪ জন করে ডাক্তার বসেন।

ঠিকানা এবং অবস্থান

পেডিকেয়ার নবজাতক ও শিশু হাসপাতাল
বাড়ি: ৫৫, সড়ক: ০১, সেক্টর: ০৯
উত্তরা, ঢাকা-১২৩০।
ফোন: ৮৯১৪৬৭৬, ৮৯২৪২৪০
মোবাইল: ০১৬৭২-৯৩৬৯০১
উত্তরা আধুনিক কলেজ সংলগ্ন।
পেশেন্ট কেয়ার হাসপাতাল

অবস্থান: উত্তরা সোনারগাঁ জনপথ রোডে অবস্থিত বাংলাদেশ মেডিকেল থেকে ২০০ গজ পূর্ব দিকে এই হাসপাতালটি অবস্থিত।
ঠিকানা: পেশেন্ট কেয়ার হাসপাতাল
হাউজ# ৯০, সেক্টর # ৯, সোনারগাঁ জনপথ রোড, উত্তরা, ঢাকা।
ফোন: ৮৯২১২১
মোবাইল: ০১৯১৮-৭৪৯৪২০
মডিউল জেনারেল হাসপাতাল

ঠিকানা এবং অবস্থান
হাতিরপুল বাজার মোতালেব প্লাজা থেকে ২০০ গজ পূর্ব দিকে হাসপাতালটি অবস্থিত।
মডিউল জেনারেল হাসপাতাল
১/জি/৩, পরীবাগ (মসজিদের পাশে হাতিরপুল বাজারের পূর্ব দিকে)
ঢাকা ১০০০।
ফোন: ৮৬১০৫১২, ৮৬১১৭১৮
মোবাইল: ০১৭১৩-৪৯২৭৭৩-৬
মনোয়ারা হাসপাতাল (রাঃ) লিমিটেড
ঠিকানা অবস্থান: ৫৪, সিদ্ধেশ্বরী রোড, ঢাকা ১২১৭।
বেইলী রোড থেকে ভিকারুন্নেসা নূন স্কুলের পূর্ব পাশের সড়ক দিয়ে প্রবেশ করে ১০০ গজ সামনে হাতের ডানপাশে এই হাসপতালটি অবস্থিত।
যোগাযোগ: ফোন- ৮৩১৮১৩৫, ৮৩১৯৮০২ ও ৮৩১৮৫২৯।
মোবাইল- ০১৭১৫-৮৩৯৪০০।
ই-মেইল- monowara@bo-online.net
মা ও শিশু স্বাস্থ্য ইনষ্টিটিউট
বহি:বিভাগে ১৫ টাকা টিকেট কেটে ডাক্তার দেখাতে হয়। শুক্রবার ও অন্যান্য সরকারি ছুটির দিন ছাড়া প্রতিদিন সকাল ৯.০০ টা থেকে দুপুর ২.০০ টা পর্যন্ত বহি:বিভাগে ডাক্তার দেখানো যায়।
যাত্রাবাড়ি থানার অন্তর্গত মাতুয়াইল এলাকা মোড় থেকে দক্ষিণ দিকে ২০০ গজ সামনে শিশু-মাতৃস্বাস্থ্য ইনষ্টিটিউট অবস্থিত। ঠিকানা: কদমতলী (শ্যামপুর), মাতুয়াইল, ঢাকা। যোগাযোগের ফোন নম্বর ৭৫৪২৮২০-২৮। অনুসন্ধান ডেস্কের নম্বর ৭৫৪২৮২০-২৮
লিভার ফাউন্ডেশন অব বাংলাদেশ
১ টি শিফটে বিকাল ৪ টা থেকে রাত ৯ টা পর্যন্ত রোগী দেখেন চিকিৎসকগণ।
অবস্থান: পান্থপথ সিগনালের ৫০ গজ উত্তর দিকে লিভার ফাউন্ডেশন হাসপাতাল ভবনের ৩য় তলায় অবস্থিত লিভার ফাউন্ডেশন অব বাংলাদেশ অবস্থিত।
ঠিকানা: লিভার ফাউন্ডেশন অব বাংলাদেশ
১৫০, গ্রীনরোড, পান্থপথ, (৩য় তলা),
ঢাকা-১২১৫, বাংলাদেশ।
ফোন নম্বর: ৯১৪৬৫৩৭, ০১৭৩২৯৯৯৯২২



সরকারি হাসপাতাল
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতাল
সকাল আটটা থেকে বহির্বিভাগ কার্যক্রম শুরু হয়। সবগুলো বিভাগেরই আলাদা আলাদা বহির্বিভাগ আছে। রোগের ধরন বুঝে নির্দিষ্ট বিভাগের টিকেট কেটে সংশ্লিষ্ট চিকিৎসককে দেখাতে হয়। যেমন কারো মানসিক কোন সমস্যা আছে মনে হলে তিনি মানসিক রোগ বিভাগের টিকেট কাটতে পারেন। অবশ্য তিনি মেডিসিন বিভাগের টিকেটও কাটতে পারেন। সেক্ষেত্রে প্রয়োজন মনে করলে সংশ্লিষ্ট চিকিৎসকই প্রয়োজনীয় বিভাগে রেফার করেন।
সম্প্রতি বিকাল তিনটা থেকে সন্ধ্যা ছয়টা পর্যন্ত বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের কনসাল্টেশন সেবা চালু করা হয়েছে। এজন্য ২০০ টাকা মূল্যের একটি টিকেট কাটতে হবে, এক টিকেটে সর্বোচ্চ দুইবার দেখানো যায় এবং টিকেটের মেয়াদ একমাস। আর এ হাসপাতালের রোগ নির্ণয় ব্যবস্থা বা ডাগনস্টিক সার্ভিস সকাল আটটা থেকে রাত আটটা পর্যন্ত চালু থাকে।
ঠিকানা: শাহবাগ মোড, ঢাকা-১০০০
অবস্থান: শাহবাগমোড়ে জাতীয় জাদুঘরের উত্তরে এর অবস্থান।
ফোন: +88 02 9661051-56, +88 02 9661058-60
+88 02 8614545-49, +88 02 8612550-54
+88 02 8618652-56, +88 02 8614001-05
+88 02 8611737-41
ই-মেইল: info@bsmmu.org
ওয়েবসাইট: www.bsmmu.org
শহীদ সোহরাওয়াদী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল
(রোগী দেখাতে হলে ১০ টাকা মূল্যের টিকেট কাটতে হবে। এখানে মেডিসিন, ডেন্টাল, শিশু বিকাশ কেন্দ্র, অর্থোপেডিক ও ট্রমা সার্জন, চর্ম ও যৌন রোগ, শিশু, গাইনী, শিশু সার্জারী, এ্যাজমা সেন্টার, নিউরোলজি ও কার্ডিওলজি বিভাগসহ মোট ১১ টি বিভাগ রয়েছে । বহি: বিভাগ প্রতিদিন সকাল ০৮.০০ ঘটিকা হইতে দুপুর ০২.০০ ঘটিকা পর্যন্ত খোলা থাকে ।)
লোকেশন:
শহীদ সোহরাওয়াদী  হাসপাতাল  ঢাকার শেরে--বাংলা নগরে জাতীয় হৃদরোগ ইনষ্টিটিউট এর পাশে অবস্থিত ।
ফোন: ৯১৩০৮০০-১৯
ঢাকা শিশু হাসপাতাল
বহি:বিভাগে ডাক্তার দেখাতে হলে প্রথমে কাউন্টার থেকে ২০ টাকা মূল্যের টিকেট কাটতে হয় এবং জরুরী বিভাগে রোগী দেখাতে হলে ৫০ টাকা মূল্যের টিকেট কাটতে হবে।
অবস্থান: ঢাকা শেরে বাংলা নগরে শ্যামলী বাস স্ট্যান্ডের ২০ – ৩০ গজ পূর্ব দিকে শিশুমেলার পূর্বে এবং জাতীয় অর্থোপেডিক হাসপাতাল ও পূনর্বাসন কেন্দ্রের পশ্চিম পাশে এটি অবস্থিত।
ফোন: ৮১১৬০৬১-৬২, ৮১১৪৫৭১-৭২
ঢাকা মহানগর জেনারেল হাসপাতাল
ঢাকা মহানগর জেনারেল হাসপাতালের বহি:বিভাগে টাকার টিকেট কেটে ডাক্তার দেখানোর ব্যবস্থা রয়ছে। এছাড়া বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের নিকট দেখাতে ৩০ টাকার টিকেট কাটতে হয়। বহিঃ বিভাগে মেডিসিন, নাক কান গলা, গাইনী, চর্ম এবং শিশু রোগের চিকিৎসা করার ব্যবস্থা রয়েছে।
ঠিকানা- নওয়াব ইউসুফ রোড, নয়াবাজার, ঢাকা-১১০০
অবস্থান: ঢাকা মহানগর জেনারেল হাসপাতাল নয়াবাজার ব্রীজ সংলগ্ন স্থানে।
ফোন নম্বর- ৭৩৯০৮৬০।
জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউট ও হাসপাতাল
এখানে সকাল ৮.৩০ মিনিট থেকে দুপুর ২.৩০ মিনিট পর্যন্ত বহির্বিভাগে রোগী দেখা হয়। বহির্বিভাগ টিকেটের মূল্য ১০ টাকা।

 ঠিকানা: শেরেবাংলা নগর, ঢাকা- ১২০৭
অবস্থান: সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজের ৫০ গজ উত্তর দিকে মিরপুর রোডের পূর্ব পাশে জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালের অবস্থান।
ফোন- ০২- ৯১২২৫৬০
ফ্যাক্স- ৮৮-০২- ৮১৪২৯৮৬
জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য ইনষ্টিটিউট ও হাসপাতাল
প্রধানত মানসিক সমস্যাগ্রস্ত রোগীদের চিকিত্সা সেবা প্রদান করা হয়। বহি:র্বিভাগে ডাক্তার দেখানোর জন্য ১০ টাকা মূল্যের টিকিট ক্রয় করতে হয়।

ঠিকানা: জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য ইনষ্টিটিউট ও হাসপাতাল, শেরে বাংলা নগর, ঢাকা।
জাতীয় চক্ষু বিজ্ঞান ইনস্টিটিউট ও হাসপাতাল
এই হাসপাতালের বহির্বিভাগে সাধারণত চোখের যাবতীয় সমস্যার চিকিৎসা  দেয়া হয়। বহির্বিভাগের ডাক্তার দেখানোর জন্য ১০ টাকা দিয়ে টিকেট সংগ্রহ করতে হয়।
ঠিকানা: শেরেবাংলা নগর, ঢাকা- ১২১৭
ফোন- ০২- ৯১১৮৩৩৬, ৮১১৪৮০৭
ফ্যাক্স- ৮৮-০২- ৮১১৭২০২

জাতীয় ক্যান্সার গবেষণা ইনস্টিটিউট ও হাসপাতাল
এখানে সকাল ৮.৩০ মিনিট থেকে দুপুর ২.৩০ মিনিট পর্যন্ত বহির্বিভাগে রোগী দেখা হয়।হাসপাতালটি বহির্বিভাগের ডাক্তার দেখানোর জন্য ১০ টাকা দিয়ে একটি টিকেট সংগ্রহ করতে হয়।

 ঠিকানা: মহাখালী, ঢাকা- ১২১২
অবস্থান: মহাখালীতে অবস্থিত জাতীয় বক্ষব্যাধি হাসপাতালের ৫০ গজ উত্তরে জাতীয় ক্যান্সার ইনস্টিটিউট ও গবেষণা ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালের অবস্থান।
ফোন- ০২- ৯৮৮০০৭৮
জাতীয় কিডনী ইনষ্টিটিউট এবং হাসপাতাল
বহি:র্বিভাগে রোগী দেখানোর জন্য ১০ টাকা মূল্যের টিকিট ক্রয় করতে হয়।
ঠিকানা এবং অবস্থান
হাসপাতালটি জাতীয় হৃদরোগ ইনষ্টিটিউট ও হাসপাতালের ১০০ গজ উত্তরে হাতের ডান পাশে এবং জাতীয় মানসিক ইনষ্টিটিউট হাসপাতালের দক্ষিণ পাশে।
জাতীয় কিডনী ইনষ্টিটিউট এবং হাসপাতাল
শেরে বাংলা নগর, ঢাকা।
ফোন: ৯১৩৬৫৫৬০-৩
জাতীয় অর্থোপেডিক ইনস্টিটিউট ও হাসপাতাল
বর্হি বিভাগ প্রতিদিন সকাল ৯ টা থেকে দুপুর ২.৩০ মিনিট পর্যন্ত খোলা থাকে। সরকারী ছুটির দিন ব্যতীত।
বর্হিবিভাগে সাধারণত হাড়ভাঙ্গা, হাড়জোড়া, হাতে টিউমার, দূর্ঘটনায় আঘাতপ্রাপ্ত, পঙ্গু, বিকলঙ্গ ইত্যাদি রোগীদের চিকিৎসা সেবা দেয়া হয়।
বর্হিবিভাগের টিকেটের মূল্য ১০ টাকা। এই টিকেট নিয়ে ডাক্তারের কাছে যেতে হয়।
শ্যামলীতে অবস্থিত শিশু মেলার পূর্বে জাতীয় শিশু হাসপাতালের সাথেই (পূর্ব) জাতীয় অর্থোপেডিক ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালের অবস্থান।
ঠিকানা
শেরে  বাংলানগর, ঢাকা- ১২০৭
ফোন- ৯১৪৪১৯০-৪, ৯১১২১৫০
মোবাইল- ০১৮৪১-২২২২২৪
ই-মেইল- nitortz@yahoo.com
আইসিডিডিআরবি

ঠিকানা
মহাখালি কাঁচাবাজার থেকে মহাখালি আন্ত:জেলা বাস টার্মিনালের দিকে ২০০ গজ সামনে হাতের বাম দিকে আইসিডিআরবি অবস্থিত।
ফোন নং – ৮৮০৬৫২৩-৩২, ফ্যাক্স – ৮৮-০২-৮৮১৯১৩৩, ৮৮২৩১১৬
জরুরী বিভাগের নম্বর – ৯৮৯৯০৬৭
ওয়েবসাইট – www.icddrb.org
 

Sunday, May 28, 2017

নামাজে হাত কোথায় বাঁধবে :-

 

নামাজে হাত কোথায় বাঁধবে :-


তাকবীরে তাহ্‌রীমার পর পুরুষ নাভীর নিচে আর মহিলা বুকের বা সিনার উপর ডান হাতের 'কর' বাম হাতের করের উপর স্থাপন করবে । পুরুষ কোন অবস্থায়ই সিনার উপর হাত বাঁধবে না । কথিত আহলে-হাদীস সম্প্রদায় মহিলাদের ন্যায় সিনার উপর হাত বেঁধে নামায পড়ে । ইমাম আযম আবু হানিফা, ইমাম সুফিয়ান সওরী ও ইমাম ইসহাক প্রমুখ বলেন যে, পুরুষের জন্য নাভীর নিচে ও মহিলার জন্য বুকের উপর হাত বাঁধা সুন্নাত । এর খেলাফ করলে নামায মাকরুহ হবে । নিচে প্রমানাদি পেশ করা হবেঃ

১) আবূ দাউদ শরীফে হাদীস বর্নিত হয়েছেঃ
 হযরত আবূ ওয়াইল হতে বর্নিত আছে, হযরত আবূ হুরায়রা (রাঃ) বলেছেন, নামাযের মধ্যে এক হাত অন্য হাতের উপর রেখে নাভীর নিচে স্থাপন করবে ।
[1]

২) দারে কুতনী, বায়হাকী ও আবূ দাউদ গ্রন্থে উল্লেখ আছেঃ
 আল্লামা ইমাম নববী (রহঃ) মুসলিম শরীফে ব্যাখ্যাগ্রন্থে বলেছেন যে, হযরত আলী (রাঃ) বলেছেনঃ নামাযের মধ্যে নাভীর নিচে হাত স্থাপন করা সুন্নাতের অন্তর্ভূক্ত ।
[1]

৩) হিদায়া গ্রন্থের ১ম খন্ডের ৮৬ পৃষ্ঠায় আছেঃ
 রাসূল (সঃ) এরশাদ করেছেনঃ ডান হাত-বাম হাতের উপর রেখে নাভীর নিচে স্থাপন করা সুন্নাতের অন্তর্ভুক্ত ।
[2]

৪) তিরমিযি শরীফে আছেঃ
 হযরত কাবীসা ইবনে হলব তার পিতা হলব (রাঃ) থেকে বর্ননা করেন যে, তিনি বলেছেনঃ রাসুলুল্লাহ (সঃ) যখন আমাদের ইমামতি করতেন, তখন তিনি ডান হাত দিয়ে বাম হাত ধরতেন ।
ইমাম তিরমিযী (রঃ) বলেন, সাহাবী, তাবেয়ী ও পরবর্তী যুগের আলিমগন এই হাদীস অনুসারে আমল করেছেন । তবে হাত রাখার ব্যাপারে আলিমগন মতভেদ করেছেন । যেমন কেউ কেউ উভয় হাত নাভীর উপর স্থাপন করার অভিমত প্রকাশ করেছেন । আবার কেউ কেউ নাভীর নিচে স্থাপন করার অভিমত দিয়েছেন । আলিমগনের নিকট এই উভয় নিয়মের অবকাশ রয়েছেন ।[3]

৫) ইমাম মুহাম্মদ (রঃ) এর কিতাবুল আ-ছারে আছে নবী করিম (সঃ) নাভীর নিচে বাম হাতের কব্জির উপর ডান হাতের তালু রাখতেন ।[4]

৬) সহীহ আবু দাউদে আছে, হযরত আলী (রাঃ) বলেছেনঃ নাভীর নিচে এক হাত অন্য হাতের উপর রাখা নামাজের সুন্নাত ।[5]

৭) আওজাযুল মাসালিক নামক কিতাবে উল্লেখ হয়েছঃ
হযরত আনাস(রাঃ) হতে বর্নিত, তিনি বলেনঃ তিনটি নবীদের আখলাকী কাজ বা আদর্শ । যথাঃ সূর্য অস্ত যাওয়ার পরই ইফতার করা, সাহরী দেরী করে খাওয়া, তৃতীয় নামাযের মধ্যে নাভীর নিচে ডান হাতকে বাম হাতের উপর রেখে নামায আদায় করা ।[6]

৮) উক্ত কিতাবে আরো বর্নিত আছেঃ
হযরত আবু হুরায়রা (রাঃ) বলেনঃ নাভির নিচে ডান হাতের পাঞ্জাকে বাম হাতের উপর রেখে নামায আদায় করা সঠিক নিয়ম ।[6]

৯) মসনদে ইবনে আবি শায়বা হাদীস গ্রন্থে লিখিত আছে যে,
 হযরত ওয়াসেল (রাঃ) বলেনঃ আমি নবী করিম (সঃ) কে নাভীর নিচে বাম হাতের উপর ডান হাত বাঁধতে দেখেছি ।
আল্লামা আবূ তাইয়েব মাদানী বলেছেন, মসনদে ইবনে আবি শায়বার হাদিসটি সহিহ; সনদ অতি সহীহ্‌ । এটাই হানাফী মাযহাবের দলিল ।[7]

১০) হযরত আবু হুরায়রা (রাঃ) হতে বর্নিত আছে-
 হযরত আলী (রাঃ) বলেছেনঃ নামাযের মধ্যে হাত বাঁধা সুন্নাত এবং দুই হাত নাভীর নিচে স্থাপন করবে ।
[8]

১১) সহীহ মুসলিমের টিকায় উল্লেখ হয়েছে যে,
ইমাম শাফেয়ীর প্রসিদ্ধ মতে ও অধিকাংশ আলিমের মতে দুই হাত বুকের নিচে নাভীর উপর রাখবে । ইমাম আবু হানিফা , সুফিয়ান সাওরী; ইসহাক ও আবূ ইসহাকের মতে নাভীর নিচে দুই হাত রাখবে এবং হযরত আলী (রাঃ)-এর নিকট হতে দুই প্রকার হাদীস বর্নিত হয়েছে । ইমাম আহমদ এক মতে বলেন, বুকের নিচে নাভীর উপরে হাত বাঁধবে । আর এক মতে বলেন- নাভীর নিচে হাত বাঁধবে ।
উল্লেখ্য যে, পুরুষ লোকের হাত বাঁধবার ব্যবস্থা হাদীস ও সাহাবাগনের পথ মত হতে প্রমানিত হয়েছে; কিন্তু স্ত্রীলোকের পক্ষে এতদ্‌সম্বন্ধে কোনই ব্যবস্থা হাদীসের দ্বারা সাব্যস্ত হয় নাই । কাজেই ইমাম আযম কিয়াস করে বলেছেন যে, স্ত্রীলোকেরা নামাযে দুই হাত বুকের উপর বাঁধবে । এটাতে তাঁদের পর্দা রক্ষা হবে- কাপড় খুলতে পারবে না ।[9]


১২) উলুমুল হাদীস গ্রন্থে ইবনে ছালা লিখেছেনঃ
খোযায়মা 'বুকের উপর হাত রাখা' এই কথাটি অতিরিক্ত বর্ননা করেছেন; কিন্তু সেটা প্রমানিত নয় ।[10]

আকুদোল জওয়াহের গ্রন্থে বর্নিত আছে- নবী করীম (সঃ) নামাযে ডান হাত বাম হাতের উপর রেখেছিলেন, এটাই সহিহ্‌; কিন্তু 'বুকের উপর হাত রাখা' কথাটি সহিহ্‌ নয় ।[10]

উপরোক্ত দলীলসমূহের দ্বারা প্রতিভাত হল যে, ইমাম আয'ম আবূ হানিফা ও তার অনুসারীগনের নামাযে নাভীর নিচে হাত রাখার সিদ্ধান্ত খেয়াল-খুশী মত নয় বরং সহীহ হাদীস দ্বারা সাব্যস্ত হয়েছে । সুতরাং পুরুষগন বুকের উপর হাত না রেখে নাভীর নিচে হাত রেখে নামাজ পড়তে পারেন, তজ্জন্য আল্লাহপাক আমাদের সকলকে তওফীক দান করুন । আমীন ![11]


1.আনোয়ারুল মুকাল্লেদিন, কৃত ই,ফা,বা পৃঃ ৫২
2.হিদায়া, ১ম খন্ড, পৃঃ ৮৬
3.জামে তিরমিযী শরীফ, মুতারজম উর্দূ, পৃঃ ১৭০
4.তুহ্‌ফাতুল মু'মিনীন, কৃতঃ মাওঃ শামসুদ্দীন মোহনপুরী, পৃঃ ৭৮
5.আবূ দাউদ শরীফ, পৃঃ ১১১
6.আওযাজুল মাসালিক, ১ম খন্ড, পৃঃ ১১৯
7.সাইফুল মুকছেদীন, মাওঃ মুহাব্বাতপুরী
8.রাযীন (হাদীস গ্রন্থ), পৃঃ ২১৬
9.তুহ্‌ফাতুল মু'মিনীন, কৃতঃ মাওঃ শামসুদ্দীন মোহনপুরী, পৃঃ ৭৯-৮০
10.সাইফুল মুকাল্লেদীন, কৃতঃ মাওঃ ইব্রাহীম মুহাব্বাতপুরী, পৃঃ ১২৩
11.হানাফীদের কয়েকটি জরুরী মাসায়েল (লেখকঃ মাওলানা মোঃ আবু বকর সিদ্দীক)



সহীহ হাদীসের নামে ওহাবীদের মিথ্যাচার

এক ব্যক্তির পোষ্ট দেখলাম যাতে তিনি বুকের উপর হাত বাঁধাকে সমর্থন করেছেন যা মিথ্যায় পরিপূর্ন ছিল । তিনি সেখানে নির্দিধায় মিথ্যা লিখেছেন। তাঁর মতে-
সালাতে নাভির নীচে হাত বাঁধার কথা সহীহ হাদীসে নেই। বরং হাত বুকের উপর বাঁধার কথা সহীহ হাদীস দ্বারা প্রমাণিত।

প্রথমে পোষ্টটি এখানে ছিল। কিন্তু মিথ্যাচার ধরা পড়ে যাবার পর পোষ্টটি লেখক নিজেই সরিয়ে নিয়েছেন
http://sonarbangladesh.com/blog/abdur_rouf66/42616

উক্ত পোষ্টের লেখক আবদুর রউফ তাঁর মনগড়া উক্তি
প্রমান করতে যে হাদিস উল্লেখ করেন তা হলো-
"হযরত সাহল ইবনে সাদ (রা) থেকে বর্নিত। তিনি বলেন নামাজে লোকদেরকে ডান হাত বাম হাতের বাহুর উপর স্থাপন করার নির্দেশ দেয়া হত।"(বুখারী-১ম খণ্ড)

পাঠকগণ ভালো করে খেয়াল করুন এই হাদীস কোনভাবেই হাত বুকের উপর বাধার সামান্যতম প্রমান নেই।

এরপর তিনি (আবদুর রউফ ভাই)একটি মুনকার হাদীস পেশ করেছেন। হাদীসটি হল ওয়াইল বিন হুজর(রা) থেকে বর্নিত, তিনি বলেন, “আমি নবী করিম (সা) এর সাথে সালাত আদায় করেছি। (আমি দেখেছি) নবী (সা) স্বীয় ডান হাত বাম হাতের উপর রেখে বুকের উপর রাখলেন।”

এর পর আবদুর রউফ ভাই রেফারেন্স পেশ করেছেন:
১. বুখারী। হাদীসটি বুখারী শরীফে নেই। যে কেউ চাইলে পুরাতন আরবী বুখারী শরীফ খুলে দেখুন। বরং ইমাম বুখারী এই হাদীসের রাবী মুয়াম্মেল ইবন ইসমাঈলকে মুনকারুল হাদীস বলেছেন (মুনকার হাদীস জাল বা বানোয়াট হাদীসের সবচেয়ে নিকটবতী )। অতএব ইমাম বুখারী(র:) মত অনুযায়ী হাদীসটি মুনকার। এবং আল্লাম ইবনুল কায়্যিম যিনি ইমাম ইবনে তাইমিয়া(যাকে ওহাবীরা সব থেকে বেশী মান্যগণ্য করে) এর শিষ্য তিনি ইলামুল মুয়াককিয়ীন গ্রন্থে বলেছেন বুকের উপর হাত বাধার কথাটুকু মুয়াম্মেল ইবন ইসমাঈল নামক রাবীর নিজস্ব বৃদ্ধি। এতএব আল্লামা ইবনুল কায়্যিমের মত অনুযায়ী হাদীসটি মাউযু (বানোয়াট)। এতএব এই হাদীসটি মাউযু(বানোয়াট) কমপক্ষে মুনকার।
তাছাড়া সুফইয়ান সাউরীর অন্যান্য শিষ্যরা তাদের বর্নিত হাদীসে এই অংশটি উল্লেখ করেননি।

২.মুসলিম। মুসলিম শরীফের এ বিষয়ে হাদীস আছে কিন্তু তাতে বুকের উপর কথাটি নেই। যে কেউ ইচ্ছা করলে পুরাতন আরবী মুসলিম শারীফ খুলে নিজে দেখে নিতে পারেন।

তাহলে বুখারী এবং মুসলিমের রেফারেন্স কেন দেয়া হল ??? তাদের অন্যতম প্রধান নেতা আলবানী যে তার জীবদ্দশায় বলে গেছে সহীহ হাদীস খালি বুখারী ও মুসলিম শারীফে আছে! হাদীসের মনগড়া ব্যাখ্যা দিয়ে আরও বলেছিল পুরুষ ও মহিলাদের নামায পড়ার নিয়ম এক! এগুলোকে সত্য প্রমাণ করার জন্য ???

৩. আত তিরমীযি। তিরমিযী শরীফে হাত বাধার বিষয়ে বর্নিত হাদীসটি হল : কুতায়বা (র)....... কাবীসা ইবন হুলব তার পিতা হুলব (রা)থেকে বর্ননা করেন যে, তিনি বলেন : “রাসূল (সা) যখন আমাদের ইমামত করতেন তখন ডান হাত দিয়ে তার বাম হাত ধারন করতেন।”
এই বিষয়ে ওয়াইল ইবন হুজর, গুতায়ফ ইবনুল হারিছ, ইবন আব্বাস,ইবন মাসউদ ও সাহল ইবন সাদ (রা) থেকে হাদীস বর্নিত আছে।
ইমাম আবু ঈসা তিরমিযী (র) বলেন হুলব বর্নিত হাদীসটি হাসান।
সাহাবী তাবিঈ ও পরবতী যুগের আলিমগন এই হাদীস অনুসারেই আমল করেছেন। তারা সালাতে বাম হাতের উপর ডান হাত রাখার অভিমত ব্যক্ত করেছেন। কেউ কেউ উভয় হাত নাভীর উপর স্থাপন করার আর কেউ কেউ নাভীর নীচে স্থাপন করার অভিমত দিয়েছেন। তবে আলিমগনের নিকট উভয় সুরতেরই অবকাশ রয়েছে।
হুলব (রা) এর নাম হল ইয়াযীদ ইবন কুনাফা আত তাঈ। (তিরমীযি হাদীস নং ২৫২)
আমি হাদীসটি আপনার নিকট হুবুহু উপস্থাপন করলাম। আপনারা নিজেরা তিরমিযী শারীফের অরিজিনাল আরবী বইটা খুলে দেখতে পারেন। বলূনতো হাদীসটির কোন শব্দে বুকের উপর কথাটি আছে ??? তবে তিরমিযীর রেফারেন্স কেন দেয়া হল ???

৪. নাসাঈ শরীফ : নাসাঈ শরীফে সালাতে বাম হাতের উপর ডান হাত রাখার স্থান নামক অনুচ্ছেদে ওয়ায়িল ইবন হুজর (রা)থেকে বর্নিত হাদীসের কোথাও বুকের উপর কথাটি নেই। এবারও আপনারা নিজেরা নাসাঈ শারীফের আরবীটা খুলে দেখতে পারেন।
তাহলে কেন বুকের উপর হাত বাধার ব্যাপারে নাসাঈ শরীফের রেফারেন্স দেয়া হল ???

৫. আবু দাউদের বর্ননা :
আমাদের নিকট বর্ননা করেছেন আবু তাওবা থেকে আলহায়সামু অর্থাত ইবন হুমায়দ থেকে সাওরী থেকে সুলায়মান বিন মুসা থেকে তাউস (র) তিনি বলেন রাসূল (সা) নামাজরত অবস্থায় ডান হাত বাম হাতের উপর স্থাপন করে তা নিজের বুকের উপর বেধে রাখতেন।
# প্রথমতঃ হাদীসটি মুরসাল। এবং অধিকাংশ মুহাদ্দিসের মতে মুরসাল হাদীস যঈফ মারদুদ (দুবল ও বর্জনীয় )। এবং যেহেতু ফিকহের ক্ষেত্রেও আপনারা মুহাদ্দিসেকিরামের মত প্রাধান্য দিচ্ছেন তাই আপনারা এই হাদীস দিয়ে দলীল দিতে পারেন না। এবং দলীল দিতে চাইলেও বলতে হবে হাদীসটি যঈফ। কেননা এটি মুরসাল হাদীস।
তাহলে কিভাবে একটি যঈফ ও মারদুদ (দু্বর্ল ও বজর্ণীয়) হাদীসকে সহীহ বলার অপচেষ্টা করা হল ? স্পষ্ট করে বলূন কিভাবে এটি সহীহ হাদীস ?
# দ্বিতীয়তঃ হাদীসটির রাবী (বর্ননাকারী) সুলায়মান বিন মুসা মৃত্যুর পূবে স্মৃতিশক্তি লোপজনিত দূবলতায় পড়েছিলেন। তাই তার হাদীস আর সহীহ থাকেনি।
# তৃতীয়তঃ হাদীসটির সনদ খেয়াল করুন সেখানে বলা হচ্ছে সাওরী থেকে সুলায়মান বিন মুসা। অথচ সাওরী(র) এর মত হল নাভীর নিচে হাত বাধা।
# চতুর্থতঃ আবু দাউদ তার মারাসীলেএ্ই হাদীসাটি সংকলন করেছেন কিন্তু তাতে ছুম্মা ইয়াশুদ্ধু বায়নাহুমা এর স্থলে রয়েছে ছুম্মা ইয়াসবিকু বিহিমা আলা সদরিহি।
এতএব আবু দাউদ গ্রন্থে থাকা বুকের উপর হাত বাধার একটিমাত্র হাদীস তাতেও আবার যঈফের বহু কারন বিদ্যমান। এতএব সমস্ত দিক বিবেচনায় হাদীসটি আবু দাউদের নাভীর নীচে হাত বাধার হাদীসের চেয়ে অধিক দূবল।
আরও বিস্তারিত জানতে এটা ডাউনলোড করে পৃ- ২০ থেকে পড়া শুরু করুন
http://www.mediafire.com/download/8g5q7zh2lal7t8k/Nasiruddin+Al+Albani.pdf

এবার আমরা ইবনে মাজাহর হাদীসটি পর্যালোচনা করব : আসুন আমরা হাদীসটি বিভিন্ন গ্র্রন্থে সনদ সহ দেখি---
সুনানে ইবনে মাজাহ হাদীস নং ৮০৯


আমাদেরকে বর্ননা করেছেন উসমান ইবন্আবী শায়বা আমাদের বর্ননা করেছেন আবুল আহওয়াস থেকে সিমাক বিন হারব থেকে কাবীসা বিন হালব থেকে তার পিতা তিনি বলেন: নবী (সা) আমাদের সালাতে ইমামতি করতেন এবং তিনি তার ডান হাত দিয়ে বাম হাত ধরতেন।
কাবীসাহ ইবন হালব থেকে তার পিতা বলেন রাসূল (সা) কে আমি তার ডান দিক থেকে এবং বাম দিক থেকে ফিরে যেতে দেখেছি। আর তাকে দেখেছি এটিকে (হাতকে) তার বুকের উপর রাখতে।
হাদীসটি আরো বর্নিত হয়েছে দারা কুতনীতে কিন্তু তাতে বুকের উপর অংশটি নেই।
আর তিরমিযী ও মুসনাদে আহমাদেও হাদীসটি বর্নিত হয়েছে তাতে বুকের উপর অংশটি নেই।
এবং হালব এর হাদীসটি সিমাক বিন হারব এককভাবে বর্ননা করেছেন। অর্থাত রাবী সিমাক একক সকল বর্ননায়। আর একাধিক জারাহ তাদীলের্ ইমাম তাকে শিথিল (দুর্বল) বলেছেন। আর নাসাই বলেছেন তিনি যদি কোন মূল মতন এককভাবে বণনা করে তাহলে তা দলীল হবে না। কারন তাকে যুগিয়ে দেয়া হত আর তিনি যোগান গ্রহন করতেন (মীযানুল ইতিদাল খ ২ পৃ২৩২)

এতএব আমরা স্পষ্ট দেখতে পাচ্ছি যে বুখারী মুসলিম তিরমিযী নাসঈ এর কোনটিতেই বুকের উপর হাত বাধার ব্যাপারে কোন হাদীস নেই। আবু দাউদ এবং ইবন মাজাহতে আছে যা অত্যন্ত দূবল। এবং এই দুবর্লতার কারন দেয়া হল। এবং ইবনে খুযায়মার বর্ণনা জাল (বানোয়াট) কমপক্ষে মুনকার যা জাল বা মাউযুর কাছাকাছি।

আবদুর রউফ ভাই এবং আহলে হাদীস/ওহাবী এভাবে সাধারণ মানুষদের ইন্টারনেটে, ফেসবুকে সাধারণ মানুষদের যে বিভ্রান্ত করেছেন [যেমন তিনি রেফারেন্স দিয়েছেন বুখারী , মুসলিম, তিরমীযী ইত্যাদী। তিনি রেফারেন্স দিয়েছেন যেমন বুখারী ১০২ পৃ: প্র: খ: আযীযল হক। হা: ৪৩৫ ১ম খ: আ: প্র: হা: ৬৯৬ । অর্থাত তিনি বুঝিয়েছেন বুখারী শরীফের ১০২ পৃষ্ঠা প্রথম খন্ড আযীযল হক। হাশিয়া (ব্যাখ্যা)৪৩৫, ১ম খন্ড আ: প্রকাশনী হাশিয়া (ব্যাখ্যা) ৬৯৬। অর্থাত উনারা হাদীসের রেফারেন্স দিচ্ছেন হাদীস গ্রন্থের তাদের নিজস্ব মনগড়া ব্যাখ্যা গ্রন্থ দিয়ে। অথচ স্বাভাবিকভাবে সাধারণ মানূষেরা ভাববে তিনি বোধ হয় হাদীস গ্রন্থের রেফারেন্স দিয়েছেন। আর এভাবেই ধোকা খাবে ব্লগারগন।]
COPY______http://sunni-encyclopedia.blogspot.com/2015/01/blog-post_37.html

Friday, May 5, 2017

কিছু জরুরী পোষ্ট ২০১৭ইং



PvwiwÎK mb`cÎ
GB g‡g© cÖZ¨qb Kiv hvB‡Z‡Q †h, ‡gvt................. , wcZvi bvg t- -----------------, gvZvi bvg t- --------------, wVKvbv t- MÖvg : ---------------- WvKNi t- -----------------, Dc‡Rjv t- --------------, †Rjv t- --------------| ‡m Avgvi wbKU cwiwPZ Ges DËg Pwi‡Îi AwaKvix|

Avwg Zvnvi Rxe‡bi me©v½xb DbœwZ I mvdj¨ Kvgbv Kwi|


অভিভাবকের সম্মতিপত্র ও জিম্মাদার

আমি জনাব মোঃ ..................., পিতা: ........................, গ্রাম: ..................., পোষ্ট: ..................., উপজেলা: ..............., জেলা: ..................। ......................... হিসেবে নিয়োগ প্রাপ্ত জনাব মো: ....................... আমার ছোট ভাই। যদি চাকুরীরত অবস্থায় কোন প্রকার অনিয়ম বা আর্থিক ধরনের জালিয়াতী সাথে জরিত হয়ে পরে তাহলে তার দ্বায় বার আমার উপর বাধিত থাকবে।
আমি তার ও কোম্পানির সর্বাঙ্গীক মঙ্গল কামনা করি।